পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় এবার মৃত্যু পথযাত্রী বৃদ্ধসহ আহতদের বিরুদ্ধে মামলা নিল পেকুয়া থানার ওসি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগীরা। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই পরিবারের ৩ জনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্বামী-স্ত্রী দম্পতি ও পুত্রসহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। অপরদিকে সৃষ্ট ঘটনায় পেকুয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা রুজু হয়েছে। পাল্টাপাল্টি মামলায় আসামী হয়েছে জখমী আমজাদ হোসেনসহ (২৮) ওই পক্ষের আরো কিছু নিকটাত্মীয়। নিরীহ ও নিরাপরাধ ব্যক্তিদের জড়ানো হয়েছে মামলায়। হামলাকারীরা উল্টো বাদী হয়ে মৃত্যু পথযাত্রী বৃদ্ধসহ গুরুতর আহতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। এ দিকে বৃদ্ধ দম্পতির উপর নিষ্ঠুর ঘটনা ও পরবর্তীতে মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে আহতেরা।
ভূক্তভোগীরা পেকুয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন। শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে পেকুয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সে দিনের নিষ্ঠুর হামলার লোমহর্ষক বর্ণনা ও বক্তব্য দেন সদর ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামা চৈরভাঙ্গার ফকির মোহাম্মদের জখমী স্ত্রী আমেনা বেগম (৫০), ছেলে আমজাদ হোসেন (২৮)। আমেনা বেগম জানান, ৭ মে দুপুরের দিকে আমার স্বামী ফকির মোহাম্মদ জমিতে ধান কাটছিলেন। এ সময় একই এলাকার মৃত মোস্তাক আহমদের পুত্র কাইছার উদ্দিন, তার ছেলে মো: মামুন ও মেহেদী হাসান রিমনসহ ৫/৭ জনের দুবৃর্ত্তরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আমার ছেলে আমজাদ ও আমি গিয়ে স্বামীকে উদ্ধার চেষ্টা করি। এ সময় হামলাকারীরা ধারালো কিরিচ দিয়ে আমরা ৩ জনকে মাথা ও হাতে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। বর্তমানে আমার স্বামী চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় মৃত্যুর সাথে লড়ছে। অথচ পুলিশ দুটি মামলা নিয়েছে। আমরা চিকিৎসাধীন ছিলাম। একই পরিবারের ৩ জন মারাত্মক জখমী। কিন্তু জখমী ছেলে আমজাদ, সাজ্জাদসহ আরো নিরাপরাধ ব্যক্তিদের জড়িয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে হামলাকারী কাইছার বাদী হয়ে মামলা করে। যার মামলা নং-০৭/২৪। পুলিশ আমাদের এজাহারটিও নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে আমরা হামলার শিকার। হাসপাতালে মারাত্মক জখমী অবস্থায় চিকিৎসাধীন। সেখানে আমরা কিভাবে হামলা করেছি। আমাদের বিরুদ্ধে মামলাটি কাল্পনিক ও সাজানো। হামলাকারীদের বাঁচাতে পুলিশ পাল্টাপাল্টি মামলা নিয়েছে। আমরা নিষ্ঠুর হামলার শিকার। আবার মামলা দিয়েও হয়রানি করা হচ্ছে। একটি পরিবারের ৩ জনের অবস্থা খুবই ভয়ানক এবং মর্মান্তিক। আমার স্বামী মৃত্যুর সাথে লড়ছে। এখনো জ্ঞান ফিরেনি। মাথার আঘাত মারাত্মক। চিকিৎসকরা তার জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা জানিয়ে দিয়েছে। এরপরও উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা। আমরা এ ধরনের জঘন্য হয়রানি থেকে বাঁচতে চাই। এমনকি সৃষ্ট ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবী করছি। এ ঘটনার আসল ক্লু বের করতে প্রয়োজনে আমি বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রশাসনের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।