এবারো ২০টি ভাষায় সম্প্রচার হবে হজ্বের খুতবা
বাংলায় অনুবাদ করবেন ৪ বাংলাদেশী
ওটা
বিশেষ সংবাদদাতা।
এবারও আরাফার ময়দানের হজ্বের ভাষণ (খুতবা) বাংলা ভাষায় অনুবাদ করবেন কক্সবাজারের গর্বিত সন্তান আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমানসহ আরও তিন বাংলাদেশী।
জানা গেছে, হজ্ব খুতবার মাধ্যমে ইসলামের শ্বাশত বাণী দুনিয়ার আনাচে কানাচে পৌঁছে দিতে হজ্ব ভাষণের অনুবাদ সম্প্রচার প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে।
বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের কাছে পবিত্র হজের বাণী পৌঁছে দিতে এবারও ২০টিরও বেশি ভাষায় সরাসরি সম্প্রচারিত হবে হজ্বের ভাষণের অনুবাদ।
বাংলা ভাষায় সেই খুতবা অনুবাদের দায়িত্ব পালন করবেন সৌদি আরবে অধ্যয়নরত চার বাংলাদেশী কৃতি সন্তান। ওই বিভাগের প্রধান আফম ওয়াহিদুর রহমান কক্সবাজারের রামুর কৃতি সন্তান।
আগামী ১৫ জুন (সম্ভাব্য তারিখ) আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন হাজীরা। সেদিন সেখানে উপস্থিত ২০ লক্ষাধিক হাজীর উদ্দেশ্যে আরবিতে খুতবা দেয়া হবে। ঐতিহাসিক মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেবেন মক্কার মসজিদুল হারামের ইমাম শায়খ মাহের বিন হামাদ আল মুয়াইকিলি।
হাজীদের সুবিধার্থে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা মুসলমানদের কাছে হজের বাণী পৌঁছে দিতে এবার ২০টি ভাষায় খুতবার অনুবাদ প্রচার করা হবে।
বাংলা ভাষায় অনুবাদ করবেন সৌদিতে অবস্থানরত চার বাংলাদেশী যথাক্রমে উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ড.খলিলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কি, মুবিনুর রহমান ফারূক এবং জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নাজমুস সাকিব।
২০২০ সাল থেকে হজের খুতবার বাংলা অনুবাদ শুরু হয়। সেই থেকেই এর সাথে যুক্ত ছিলেন কক্সবাজারের ভূমিপুত্র মাওলানা আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কি। এছাড়াও তিনি পবিত্র হারাম শরীফের জুমার খুতবাও বাংলায় অনুবাদ করে থাকেন। ২০১৫ সালে জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৫টি ভাষায় আরাফার ময়দানের খুতবার অনুবাদ শুরু হয়। ২০২০ সালে ১০টি, ২০২২সালে ১৪টি এবং ২০২৩ সাল থেকে ২০টি ভাষায় খুতবার অনুবাদ সম্প্রচার হয়ে আসছে। এবারো ২০ টি ভাষায় হজ্বের খুতবার অনুবাদ সম্প্রচার করা হবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।